বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শুধু তাই নয় তার পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সকে শান্তদের প্রধান কোচের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কারণ দর্শানো নোটিশ ও বরখাস্তের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন লঙ্কান এ কোচ। যদিও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। বিসিবির সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে হাথুরুসিংহে জানান আগে চিঠির জবাব দেবেন, এরপর কথা বলবেন গণমাধ্যমে।
সদ্য বরখাস্ত হওয়া হাথুরুসিংহে জানান, ‘আমি জানি না কী ঘটেছে। আমি একটা চিঠি পেয়েছি, যেটাকে বলতে পারেন কারণ দর্শানো নোটিশ, যেখানে কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আমাকে এটার জবাব দিতে হবে। কাল (বুধবার) সেটি দেব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
কারণ দর্শানো নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। তবে তার আগে জবাব দেওয়ার কথা জানান হাথুরুসিংহে। লঙ্কান এ কোচ বলেন, ‘আপনিও (প্রশ্নকর্তা) জানেন এটা ঠিক হয়নি। তবে তারা (বিসিবি) এটাই করেছে। এ নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। আমি চুক্তি অনুযায়ী যাব। আগামীকাল (বুধবার) আমি তাদের (বিসিবির) চিঠির জবাব দেব। তারপর আমি আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মীদের) সবার সঙ্গে কথা বলব।’
চুক্তি শেষ হওয়ার আগে বরখাস্ত করায় বিসিবির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আসলে আর কিছুই বলতে পারছি না। কারণ, আমি এখনো চিঠির জবাব দিইনি। এখন বললে সেটা অপ্রাসঙ্গিক হবে।’
যদিও বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদের দাবি অসদাচরণের জন্য কারও চাকরি গেলে নোটিশ পিরিয়ড না দিলেও চলে। এরপরও দেশের ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করতে লঙ্কান কোচকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছর ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে চড় মারাসহ বেশ কয়েকটি কারণে হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে বিসিবি। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে চুক্তির চেয়ে বেশি ছুটি কাটানোর অভিযোগও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দুই-তিনটি ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো আসলে একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার জন্য খুব পীড়াদায়ক ছিল। পাশাপাশি এটা দলের জন্যও খুব একটা ভালো উদাহরণ ছিল না। সেগুলো বিবেচনা করে আজকে আমরা তাকে একটা কারণ দর্শাও নোটিশ এবং দায়িত্ব থেকে অব্যহতির চিঠি দিয়েছি।’