খেলাধুলা

গতির পার্থে লড়াইয়ের জোশ | কালবেলা

গতির পার্থে লড়াইয়ের জোশ | কালবেলা


পার্থ টেস্টে দুই দলের কান্ডারি দুই ফাস্ট বোলার। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ভারতের নেতৃত্বে জাসপ্রিত বুমরা। অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে প্যাট কামিন্স। আগে পার্থে খেলা হতো ওয়াকা স্টেডিয়ামে। এখন খেলা হয় অপ্টাস স্টেডিয়ামে। দুটি মাঠের পিচেই গতি ও বাউন্স ভরা থাকে। এই তথ্যের সঙ্গে দুই ফাস্ট বোলারের অধিনায়কত্ব মিলিয়ে যে প্রেক্ষাপট তৈরি, সেটাকে বিস্ফোরক আখ্যা দেওয়া যেতেই পারে। এর সঙ্গে যদি উইকেটের রহস্যময় আচরণ মিশে থাকার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তো পোয়াবারো। পার্থের পিচ প্রস্তুতকারক আইজাক ম্যাকডোনাল্ড স্বয়ং রহস্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রথম টেস্টের পিচে বাউন্স ও গতি থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ম্যাকডোনাল্ড। তবে বৃষ্টির কারণে উইকেট কাভার দিয়ে ঢাকা থাকায় তিনি মনের মতো করে তৈরি করতে পারেননি। তাতে কি ব্যাটাররা কোনো সুবিধা পাবে? ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘পার্থে যেভাবে পিচ তৈরি করা হয়, এবারে সেভাবে করা যায়নি। মঙ্গলবার সারা দিন পিচ ঢেকে রাখতে হয়েছিল। তাই বুধবার কিছুটা আগে থেকেই কাজ শুরু করা হয়। আশা করছি রোদ উঠবে। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। আবহাওয়ার কারণে মনে হচ্ছে পিচ ভাঙবে না। প্রথম দিনের থেকে পিচ কিছুটা খারাপ হবে। কিন্তু সেটা খুব প্রভাব ফেলবে না। পিচে ঘাস থাকবে। সেইসঙ্গে বাউন্সও থাকবে। তবে ওয়াকায় যেমন পিচে ফাটল দেখা যেত, তেমনটা হবে না। আবহাওয়া সেটা হতে দেবে না।’

আমাদের দেশে চৈত্র মাসে যেমন গরম থাকে পার্থে ম্যাচের দিনগুলোতে তাপমাত্রা তেমন ( ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকবে। ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘পিচে ঘাস থাকবে। সেই ঘাস কত ক্ষণ মাথা তুলে থাকবে, তার ওপর নির্ভর করবে পিচ কেমন আচরণ করবে। তবে ফাটল তৈরি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।’

উইকেটের রহস্য সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়া গেল। এবার দুদলের শক্তির খবর নেওয়া যাক। ভারত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। আর অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। রোহিত প্রথম টেস্টে খেলছেন না। বিরাট কোহলি ফর্মে নেই। সবচেয়ে বড় কথা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অনিশ্চিত হয়ে গেছে ভারত। ফাইনাল খেলতে হলে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ এ হারাতে হবে। প্রায় অসম্ভব টাস্ক। প্রথম টেস্টের অধিনায়ক বুমরা বলেছেন, ‘জিতি বা হারি, শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। বিশ্বকাপ জেতার পরও মনে হয়নি বাকি সিরিজগুলো অনায়াসে জিতব। আমি এভাবেই দেখি। সিরিজ ওভাবে হেরে আমরা সবাই হতাশ। কিন্তু কাঁধে কোনো বোঝা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসিনি। তরতাজা মনোভাব নিয়ে আলাদা একটা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে এসেছি।’

অধিনায়কত্ব নিয়ে বুমরা বলেন,‘অধিনায়কত্বকে স্রেফ একটা পদ হিসেবে দেখি না। ছোটবেলা থেকে কঠিন কাজ করতে পছন্দ করি। কোনো কাজ করার সময় পরিস্থিতি কঠিন হলে আমার কাছে সেটা আলাদা চ্যালেঞ্জ।’

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স বলেছেন, ‘বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি মানে বরাবরই একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হয়। এবার পাঁচ টেস্টের সিরিজ। দুদলের প্রবল লড়াই হবে। নিঃসন্দেহে এটা বড় সিরিজ। আর দেশের মাটিতে খেলতে নামলে সব সময়েই চাপ থাকে। ভারত বেশ প্রতিভাবান দল। আমাদের কাজটা সহজ নয়। তবে খুব বেশি দূরে তাকাতে চাই না। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিততে পারলে ভালো লাগবে। ভারতও খুব ভালো দল। তবে আমরাও তৈরি।’





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।