বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্ত্রীসহ আগামী ২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন। এ মুহূর্তে তিনি বড় মেয়ে শামারুহ মির্জা ও তার পরিবারের সঙ্গে অবকাশ কাটাতে অস্ট্রেলিয়া রয়েছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান কালবেলাকে বলেন, বিএনপির মহাসচিব বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তিনি গত ৯ অক্টোবর রাতে অস্টেলিয়া গেছেন। সেখানে মহাসচিবের বড় মেয়ে থাকেন। কয়েক মাস ধরে স্যারের মিসেস রাহাত আরা বেগমও সেখানে রয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব অনেক আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়া যাবার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম ও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় যেতে পারেননি। এবার গিয়েছেন বড় মেয়ে ও নাতি নাতনির সঙ্গে সময় কাটিয়ে তিনি তার সহধর্মিণীকে নিয়ে ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করি।
প্রসঙ্গত, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৯ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন।
যাত্রার আগে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বড় মেয়ে থাকে অষ্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায়। আমার স্ত্রী (রাহাত আরা বেগম) গত দেড় মাস যাবত বড় মেয়ের কাছে আছেন। তাদেরকে একটু সময় দিতে সেখানে যাওয়া। আশা করছি, সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেশে ফিরবো।
মির্জা ফখরুল দম্পত্তির দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ড. শামারুহ মির্জা ২০০৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন স্বামী ও সন্তান নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সেন্ট্রাল মেডিসিন রেগুলেটরি বোর্ডের আওতাধীন থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (টিজিএ) সিনিয়র টক্সিকলজিস্ট হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন। শামারুহ মির্জা একজন নারী সংগঠক হিসেবে ক্যানবেরাতে তিনি সমধিক পরিচিত।
শামারুহ ২০১৭ সালে সিতারার গল্প (সিতারা স্টোরি) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
বাংলাদেশে ২ জন নারী বীরপ্রতীক রয়েছেন-ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা ও তারামন বিবি। তাদের নামানুসারেই এই সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। ‘সি’ মানে সিতারা বেগম, আর ‘তারা’ মানে তারামন বিবি। আর ছোট মেয়ে সাফারুহ মির্জা ঢাকায় একটি ইংরেজি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।