ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন সংগঠন একযোগে লংমার্চের কর্মসূচি পালন করবে। আগামী বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে এই লংমার্চ শুরু হবে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আগামী বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। নয়াপল্টন থেকে সকাল ৮ টায় লংমার্চ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে ভারতের হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির একদল উচ্ছৃঙ্খল সদস্য সহিংস হামলা চালিয়েছে। এ সময়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে, মিশনের সম্পদ নষ্ট করেছে। সহিংস ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকায় ছিল, যা ওই ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের মৌনসম্মতি ইঙ্গিত করে। ভারত সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে। এ ছাড়াও বিগত ২৮ নভেম্বরে কলকাতায়ও একই ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মনে করছি, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতের শামিল।
মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা বলে একদিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের অবমাননা করেছেন এবং অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, বহিষ্কৃত ইসকন নেতা, বাংলাদেশের নাগরিক চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার, তদন্ত এবং বিচার সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
এর আগে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিল্লির অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করেছিল বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে তারা স্মারকলিপি পেশ করেন।