ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ প্রতিটি পরিবারকে অন্তত পাঁচ কোটি করে টাকা দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়ে নতুন একটা দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা সব সময় থাকতে হবে। অসংখ্য ছাত্র চিকিৎসা পাচ্ছে না। এ সরকারের প্রথম কাজ ছিল যারা আহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যারা শহীদ হয়েছে, তাদের পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ লাখ টাকা তো কোনো টাকাই না। এদের অন্তত পাঁচ কোটি করে টাকা দেওয়া উচিত ছিল। প্রতিটা পরিবারকে ভাতা দেওয়া উচিত। এই পরিবারগুলো যদি হারিয়ে যায়, মিলিয়ে যায়- তাহলে এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় হবে।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অধ্যাপক কে. আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ : পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর হাফিজ এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীকে হতাশ করছে বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমরা আশা করে আছি। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে আমরা কিছুটা হতাশ হয়ে গিয়েছি। তাদের এক একজন চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন, কিন্তু সেখানে কোনও কাজ দেখছি না।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি করা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তারা উদাসীন। মনে হয় যেন তারা বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকবে। ক্ষমতায় থাকুক সমস্যা নেই, তবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আপনারা ঘটান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দিকে তাকালে মনে হয় না- এখানে একটি বিপ্লব হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো- বর্তমান যে সরকারকে আমরা বসিয়েছি, তাদের অনেকের মধ্যেই বিপ্লবী চেতনা নেই। এরা বিপ্লবকে ধারণ করে না। তাদের জন্য এটা হলো একটা চাকরি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে দল গোছানোর কথা বলে। আবার এই সরকার একটা রোডম্যাপ এখন পর্যন্ত দেয়নি।
মেজর হাফিজ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্তই থাকবে- এই দুর্বল সরকার এটা ঠিক করতে পারবে না। একটা শক্তিশালী সরকার যদি দেশে আসে, জনগণের নির্বাচিত সরকার আসে, তাহলে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারা সক্ষম হবে।