বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম বাজার থেকে শুরু করে পুরো ওয়ার্ডের এলাকাজুড়ে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি; কিন্তু সরকার প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে আসতে পারেননি। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কিংবা দেশের যে কোনো দুর্যোগকালীন কঠিন সময়ে সরকারকেই দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হয়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে আমরা তাদের কাছ থেকে জনগণের চাহিদা পূরণে আশানুরূপ ভূমিকা দেখিনি। সরকারের সক্রিয় ভূমিকা থাকলে এত মৃত্যু, এতো প্রাণহানি ঘটত না।
বিএনপি জনগণের দল, জনগণের পাশে থেকে কাজ করে- এমনটা জানিয়ে দলটির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সেই জায়গা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা দলের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং ডেঙ্গু হলে কী করণীয়- এই বিষয়ে লিফলেটের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছি।
তিনি বলেন, শুধু ডেঙ্গুকালীন সময়েই নয়, দেশের যে কোনো দুর্যোগকালীন সময়ে, করোনা সময়ে, মহামারির সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছে। পক্ষান্তরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে জনস্বার্থে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজেদের পকেটের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল।
আমিনুল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনে যে কীটনাশক ব্যবহার করেছে তা ভেজাল ছিল। ভেজাল থাকার কারণে মশার উপদ্রব কমেনি বরং আরও বেড়েছে, পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকট আমরা সবসময় দেখেছি।