বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেননি। জনগণ তার বহুল প্রত্যাশিত ভোটের জন্য এখন অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে- অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ে দেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে- যে নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষগুলো তাদের বহুল প্রত্যাশিত ভোট দিবে। জনগণের ভোটে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। ঠিক তখনই আমরা দেশে একটা নির্বাচিত জনগণের সরকার দেখতে পাব।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রূপনগরে থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন করছেন; সেই আন্দোলনের সফলতা হিসেবে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র এবং জনগণের যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেই গণঅভ্যুত্থানে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছি। এই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে আমরা আমাদের সমাজকে গড়তে চাই, আমরা আমাদের দেশকে গড়তে চাই। সেই দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামাজিক কার্যক্রম করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে দেশের ক্লান্তিলগ্ন যেমন- দুর্যোগকালীন, বন্যা ও করোনাকালীন কঠিন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বদা জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। পক্ষান্তরে জাতির কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের কাছে না গিয়ে এসি রুমে বসে থাকতো। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল না। সেজন্যই জনগণের কাছে যাওয়ার তাদের কোনো প্রয়োজনও ছিল না।
শেখ হাসিনা জনগণের ভয়ে নিজেই পালিয়ে গেছেন উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, তার (হাসিনা) যারা আজ্ঞাবহ- যারা আগেই টের পেয়ে গেছেন যে- শেখ হাসিনা তো বাংলাদেশে থাকবেন না; তারা কিন্তু তার সাথে ভাইগা গেছে। আর যারা বুঝতে পারেনি যে- হাসিনা ভাইগা যাবে, তারা কিন্তু ঠিকই আটকে গেছে। এই আটকেপড়া আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছে, আবার তারা আস্তে আস্তে বের হচ্ছে। সবাইকে পাওয়া যাবে, কেউ রেহাই পাবে না।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার করা ছাড়া শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, শহীদদের আত্মা সেদিনই শান্তি পাবে যেদিন হত্যাকারীদের বিচার হবে। বিএনপি সব হত্যার বিচার চায়।
রক্তদান কর্মসূচিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক অলিউল হাসানাত তুহিন, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজী নূর সালাম, রূপনগর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান রনি, সাধারণ সম্পাদক কাউছার মল্লিক, পল্লবী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল খন্দকার, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরান মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক খোকন, পল্লবী থানা ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন সোহেল, ছাত্রদল নেতা শেখ মেহেদী হাসান, ৬নং ওয়ার্ড যুবদল আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ মোল্লা, রুপনগর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন সাগর, রূপনগর থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি আবুল কাশেম, মো. সাইফুল, ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল, মো. হারুনুর রশিদ, থানা ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শৈশব, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সোহেল, মো. হারুনুর রশিদ, আল আমিন, মো. জিহাদ, মো. শাওন যুবদলের সোহাগ কাজীসহ প্রমুখ।