বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বিগত দেড় যুগ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ গুম-খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্ম যারা করেছে, তারা সবাই গ্রেপ্তার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, বিচার প্রক্রিয়াও এখনো শুরু হয়নি। এ জন্য সরকারের কাছে দাবি, খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছাত্রদলের তিতুমীর কলেজ শাখার সহ-সভাপতি পারভেজ হোসেন সাইফের চিকিৎসার খোঁজ নিতে গিয়ে ডা. রফিক এসব বলেন।
সাইফ দীর্ঘদিন যাবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিছু দিনের মধ্যেই তার হার্টের বাইপাস সার্জারি হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্রদল নেতার এ জটিল রোগের বিষয়ে জানতে পেরে চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন। দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে সাইফের চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ রাখছেন এবং চিকিৎসার খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কোনো সংস্কার কাজ যেন আটকে না থাকে। পৃথিবীর কোনো বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি, হয় না। বাংলাদেশেও জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, কিন্তু ষড়যন্ত্র পালায়নি। তিনি বিদেশে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এখন সেই টাকা দিয়েই দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের সব স্থান নষ্ট করে দিয়েছে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে ’২৪-এর গণবিপ্লব। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিপ্লবের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, পারভেজ হোসেন সাইফ এ বছরের মার্চে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হার্টের রক্ত সঞ্চালনের জন্য রিং পরান। ওই সময়েও তারেক রহমান তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন।