কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার প্রায় ৩০টি পূজামণ্ডপে জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের উদ্যোগে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিনব্যাপী প্রচার দলের সহসভাপতি রাজিব কুমার ঘোষের পক্ষ থেকে এ অনুদান দেওয়া হয়।
এ সময় জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, অর্থ সম্পাদক জহির হোসেন জয়, সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক সেলিনা রহমান, প্রচার দল নেতা আব্দুল বারেক শেখ, মামুন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুদান প্রদান কর্মসূচিতে মাহফুজ কবির মুক্তা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর কিছু মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ হামলা কারা চালাল? যে বিএনপিসহ হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশবাসী এ দেশে বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে- তারা কখনই চাইবে না যে, দেশ আবার অস্থিতিশীল হোক। ঝিনাইদহ, খুলনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল, মঠবাড়িয়াসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের একাধিক লোক গ্রেপ্তার হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় মন্দির ভাঙচুরের ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এরা স্বীকার করেছে- আওয়ামী লীগের ওপর মহলের নির্দেশেই তারা এগুলো করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পুঁজি করে রাজনীতি করে। অথচ, তাদের শাসনামলেই হিন্দু সম্প্রদায় বেশি অত্যাচারিত হয়। পতিত শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, যার প্রমাণ এবারও মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভিন্নভাবে দেখি না। তারাও বাংলাদেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগই দেশের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।