সাবেক জেলা ও দায়রা জজ শামসুল আলম খান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জনজোটের সাবেক সমন্বয়ক মাহবুব শামীম, অ্যাডভোকেট গাজী মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক ও বিশিষ্ট শিল্পী আদিবা চৌধুরীসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)তে যোগদান করেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) নতুন যোগদানকৃতদের রমনা পার্কের ইউরো-এশিয়ানো রেস্টুরেন্টের হলরুমে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক।
নতুন যোগদানকৃতদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ শামসুল আলম খান চৌধুরী, জনজোটের সাবেক সমন্বয়ক মাহবুব শামীম, স্থপতি তানভীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও বিশিষ্ট শিল্পী আদিবা চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কোনো কিছু গঠন করা খুবই কঠিন কাজ আর সেটা যদি রাজনৈতিক দল গঠন হয় তাহলে তা আরও কঠিন। আজ আমি অত্যন্ত খুশী এখানে জজ, অ্যাডভোকেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিল্পী, নাট্য নির্মাতাসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমরা অধিকার ভিত্তিক একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সবার সহযোগিতায় আজ সেটি একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাইকে বলছি এবি পার্টি বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সামর্থ্যের পরিচয় দিবে ইনশাআল্লাহ। যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তাদের অনুরোধ করব আপনারা নিজেদের সামর্থ্য উজাড় করে পার্টির হাতকে শক্তিশালী করুন। পার্টি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে ইনশাআল্লাহ।
লে. কর্নেল দিদার বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমার বাংলাদেশ পার্টি তার সব সামর্থ্য উজাড় করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামেও আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান বজায় রাখব। নতুন যোগদানকৃত সবাই আমাদের এই পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, রাষ্ট্র নাগরিকদের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। বিগত ৫৩ বছরে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, কেউই নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণে সামর্থ্যের পরিচয় দেননি। যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তারাই দেশের টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। কাজেই আমরা বলছি বাংলাদেশকে আমরা সেকেন্ড রিপাবলিক করতে চাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে হলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। সেটায় নতুন আহতদের স্বাগতম। আমরা আপনাদের সাথে নিয়েই নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করব ইনশাআল্লাহ।
সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, এবি লইয়ার্সের যুগ্মসচিব অ্যাডভোকেট উদয় তাসমির, অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবনেত্রী শাহিনুর আক্তার শীলাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।