রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকারকেই গণহত্যার বিচার করতে হবে : ভিপি নুর

অন্তর্বর্তী সরকারকেই গণহত্যার বিচার করতে হবে : ভিপি নুর


অন্তর্বর্তী সরকারকেই রাষ্ট্র সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এ সময় বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ এককভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টন মোড় সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে ভিপি নুর এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, আইনজীবী, আলেমসহ অর্ধশতাধিক নতুন মুখ গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকেই ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান করেছে। পুরোনো রাজনীতি দিয়ে পাঁচ দশকেও জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। সুতরাং নতুন নেতৃত্ব ছাড়া নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হবে না। তাই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে স্থানীয় নির্বাচনসহ এককভাবে জাতীয় নির্বাচনে যাবে। সে লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কাজ করছে।

নেতাকর্মীদের গ্রহণযোগ্য জনপ্রতিনিধি খোঁজার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশের সময়ই বলেছিলাম বিভাজিত সমাজ ও ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন করতে হবে। সংবিধান অকার্যকর হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণঅধিকার পরিষদকে গড়ে তুলতে আপনারা দলে যোগ দিন। ফ্যাসিবাদের সময়কালে গত ৬/৭ বছর মানুষ গণঅধিকার পরিষদের তরুণদের সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষা দেখেছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, পরিবর্তনের জন্য গণঅধিকার পরিষদেই তারা আস্থা রাখতে চায়। তাই আপনাদেরকে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে, গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। এই সরকার দেশের আপামর জনসাধারণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সরকারের প্রতি মানুষের চাওয়া আকাশচুম্বী। তাই সরকারকে জনগণের ভাষা বুঝতে হবে, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সরকারের সঙ্গে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের দূরত্ব থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই। সরকারের দিক থেকেও সে অ্যাপ্রোচ থাকতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশের সময়ই আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আমরা তখনই বলেছি, দলীয়প্রধান রাষ্ট্রপ্রধান নয়, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য এবং সংবিধান সংস্কার করতে হবে। এইবার রাষ্ট্র সংস্কার না হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে যাবে। সুতরাং রাষ্ট্র সংস্কারের পরেই নির্বাচন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে ব্যর্থ করতে নানামুখী তৎপরতা শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা এটি হতে দেব না। গণঅধিকার পরিষদ সরকারের পাশে থাকবে, যতক্ষণ সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের সঠিক পথে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হলেন আসিফ নজরুল স্যার। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী দোসররা। অথচ তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কিনা গত ১৫ বছর রাজপথে ছিলেন।

এ ছাড়া তিনি বলেন, আমরা আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ ২০১৮ সাল থেকে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ভূমিকা সম্পর্কে সকলে জানেন। তারুণ্যের শক্তিকে সমৃদ্ধ করতে যারা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন, সকলের জন্য শুভকামনা

অনুষ্ঠানে রাজনীতিক ও সংগঠক হাবিবুর রহমান রিজু, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাসিবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আজিজুর রহমান বাচ্চু, রাজনীতিক ও সংগঠক আবু হানিফ হৃদয়, ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল বাতেন বাবু, ব্যারিস্টার এম মহিউদ্দিন ইউসুফ, অ্যাডভোকেট মো. মাইনুল হোসেন, অ্যাড. মেহেদী হাসান, অ্যাড. আজগারুল ইসলাম রতন, অ্যাড. মমিনুল ইসলাম, অ্যাড. গৌরাঙ্গ লাল মন্ডল, অ্যাড. নার্গিস পারভীন, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মো. সানাউল করিম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করেন।

যোগদান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।