লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন এক অধ্যায় শুরু করছে তারা। এরপরই জভুলুনের উপকূলীয় এলাকায় রকেট হামলা করেছে গোষ্ঠীটি। এসব রকেটের বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও (আইডিএফ) স্বীকার করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে শক্তিশালী রকেট দিয়ে ইসরায়েলে হামলা করা হয়। তারা বন্দর নগরী হাইফার উত্তরে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করে। টেলিগ্রামে দেওয়া আপডেটে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যা সফলও হয়েছে।
পরে বিবৃতিতে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, আজ সকালে হাইফা উপসাগর, আপার গ্যালিলি ও পশ্চিম গ্যালিলিতে সাইরেন বেজে উঠে। সেখানে আঘাত হানা রকেট লেবানন থেকে ছোড়া হয়। প্রায় ১৫টি রকেট শনাক্ত করে প্রতিরোধের চেষ্টা করে তারা। কিন্তু কিছু আটকানো গেলেও বাকিগুলো আঘাত হানে। এ ছাড়া রাতে ইসরায়েলি সামুদ্রিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে উপকূল বরাবর একটি ড্রোন ভূপাতিত করে জব্দ করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ দাবি করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেট যৌথ বিবৃতিতে সিনওয়ার নিহত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে তার মরদেহের দাঁত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাপ্ত মরদেহটি সিনওয়ারের বলে নিশ্চিত হওয়ার দাবি করে ইসরায়েল। তবে এখনো হামাস এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইসরায়েলের দাবি অস্বীকারও করেনি।
তবে বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি শত্রুপক্ষের সঙ্গে চলমান সংঘাত একটি নতুন এবং ক্রমবর্ধমান অধ্যায়ে রূপান্তরিত হয়েছে বলে ঘোষণা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ।’ কিন্তু তারাও হামাস নেতার নিহতের বিষয়টি উল্লেখ করেনি।