লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের তিনটি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলা করেছে বলে দাবি জাতিসংঘের বাহিনীর। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পৃথক দুুটি অবস্থানে হামলা হয়। অপর হামলটি করা হয় বুধবার (৯ অক্টোবর)।
জাতিসংঘের বাহিনী বলেছে, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ক্রমাগত হামলা করছে। সেখানে তীব্র লড়াই হচ্ছে। অঞ্চলটিতে বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেতানিয়াহুর বাহিনী দিচ্ছে না। এরই মধ্যে জাতিসংঘের বাহিনীর ব্যবহৃত স্থানে হামলা হলো।
শান্তিরক্ষী বাহিনী আরও বলেছে, একটি ঘটনায় ইসরায়েলি ট্যাংক নাকোরায় বাহিনীর প্রধান সদর দপ্তরের একটি ওয়াচটাওয়ারে গুলি ও গোলা নিক্ষেপ করে। এতে টাওয়ারটি ভেঙে পড়ে। সেখানে তাদের দুজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। অন্য দুটি ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শান্তিরক্ষীদের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে যে কোনো আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। আর এটিই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী করল।
তবে এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল। মনে হচ্ছে, তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে ইসরায়েলে দেড় শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির এ হামলায় ইসরায়েলের দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী শহর কিরিয়াত শিমোনায় হিজবুল্লাহ রকেট ছুড়েছে। তাদের ছোড়া রকেটের শার্পনেলের আঘাতে একজন নারী ও একজন পুরুষ গুরুতর আহত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাদের দুজনেরই বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীকে নিশানা করে তারা কিরিয়াম শিমোনায় হামলা চালিয়েছে। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।