বিশ্ব

রতন টাটার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা

রতন টাটার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা


ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি রতন টাটার চিরবিদায়ের দুই দিনের মাথায় তার উত্তরসূরি মনোনীত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মুম্বাইয়ে টাটা গ্রুপের এক সভায় উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হয়।

টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছিলেন রতন টাটা। এই ট্রাস্টের পরবর্তী চেয়ারম্যানকে মোটাদাগে তার উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ, রতন টাটা ছিলেন চিরকুমার। স্ত্রী বা সন্তান না থাকায় তার রেখে যাওয়া প্রায় ৪ হাজার কোটি রুপির উত্তরসূরি নিয়ে কল্পনা-জল্পনা শুরু হয়। যদিও এসব সম্পদ তিনি বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলেন। যাতে তার মৃত্যুর পর গ্রুপটি মুখ থুবড়ে না পড়ে।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সদ্য প্রয়াত ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি রতন টাটার সৎভাই নোয়েল টাটাকে টাটা ট্রাস্টের পরবর্তী চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে। এই ট্রাস্টের পরিচালনা পর্ষদ শুক্রবারের সভায় সর্বসম্মতিতে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করে।

৬৭ বছর বয়সী নোয়েল রতন টাটার ছায়া হয়ে কাজ করে আসছিলেন। তিনি টাটা ট্রাস্টের নেতৃত্বে আসার খবর গ্রুপটির জন্য স্বস্তির। কারণ, এ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে গ্রুপটির অধিকাংশ ব্যবসা পরিচালিত হয়।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্ম হয় রতন টাটার। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। তার দাদি নওয়াজবাই টাটার কাছে বেড়ে ওঠেন তিনি। রতন টাটার এক ভাই জিমি টাটা, আরেকজন সৎভাই নোয়েল টাটা।

১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন এই রতন টাটা। দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব ধরে রাখা এই শিল্পপতি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সাধারণ মানুষের মনে সর্বদা একটি প্রশ্ন ছিল, কেন রতন টাটা অবিবাহিত? তবে মজার ব্যাপার হলো, একবার নয় দুবার নয়, রীতিমতো চারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, প্রায় তার বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে করতে পারেননি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। সে সময় তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিয়ে করা হয়নি তার।





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।