বিশ্ব

ফিলিস্তিনকে সৌদি আরবের হাতে তুলে দেবে যুক্তরাষ্ট্র?

ফিলিস্তিনকে সৌদি আরবের হাতে তুলে দেবে যুক্তরাষ্ট্র?


বানরের রুটি ভাগাভাগি চলছে। সাজানো গোছানো ফিলিস্তিনের ভেতর জোর করে আরেকটি রাষ্ট্র পয়দা করে বিশ্বের মোড়লরা। এখন সেই রাষ্ট্র দানব হয়ে গিলে খাচ্ছে ফিলিস্তিনকে। সাত দশকের বেশি সময় আগে একবার ষড়যন্ত্র করা হয়। এখন ফিলিস্তিনকে নিয়ে নতুন আরেক ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আন্দোলনকে চাপা দিয়ে ভূখণ্ডটি সৌদি আরবের হাতে তুলে দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্বাধীন দেশেই পরাধীন হওয়া ফিলিস্তিনিরা দশকের পর দশক অধিকার আদায়ের লড়াই চালাচ্ছে। সেই সশস্ত্র লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন। তবে বুধবার এই সংগঠনের মাথা ইয়াহহিয়া সিনাওয়ারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দেওয়ার পরিবর্তে বরং সৌদি আরবের হাতে তুলে দিলে ভূখণ্ডটি ইসরায়েলের অধীনস্ত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের এক প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সেই কূটচালের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের প্রধান সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর স্বপ্ন দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও পেশ করেছেন। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে লাভের পুরো গুড় খাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।

ফিলিস্তিন নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা নেই সৌদি আরবের। তবে মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনকে সৌদি আরবের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রিয়াদের কর্মকর্তারা, অস্ত্রের ঝনঝনানিতে মধ্যপ্রাচ্য শাসন করতে চায়। এজন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালার পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে বলি দিতেও আপত্তি নেই রিয়াদের কর্মকর্তাদের। অথচ সেই সৌদির হাতেই ফিলিস্তিনকে তুলে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

পশ্চিম তীরের নেতৃত্বের ওপর আগে থেকেই ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে তেল আবিবের। তাই দীর্ঘদিন ধরে গাজা সংস্কারের বিভিন্ন পরিকল্পনা পেশ করে আসছেন নেতানিয়াহু। তাদের সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা তৃতীয় কোনো দেশের কাছে গাজাকে তুলে দেওয়া হতে পারে। সিনওয়ারের মৃত্যু সে দরজাই এখন খুলে দিয়েছে।

মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সিংহের মতো একা লড়ে গেছেন সিনওয়ার। তার নিঃসঙ্গ মৃত্যু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনকে দুর্বল করেনি। বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, তারা দুর্বল হবে না। আঘাত হানবে নতুন উদ্যমে। কেননা রক্তে স্বাধীনতার নেশা লাগলে আগুনও শীতল হয়ে যায়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতার লোভে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেও বিশ্বের প্রতিটি কোণ থেকে প্রতিধ্বনি হবে ফ্রি প্যালেস্টাইন।





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।