কুমিল্লায় মো. এজাহার উদ্দিন বাবলা নামে এক যুবককে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী জান্নাতুন নাঈমের (১৯) এর বিরুদ্ধে। পরে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে খবর দেন তিনি।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এজহার উদ্দিন বাবলা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার এলাকার চণ্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘাতক স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তারা উভয়ে লালমাইয়ের দতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন।
লালমাই থানা পুলিশের ওসি শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন নিহত বাবলা ও তার স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। শুক্রবার রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম স্বামী বাবলার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্বামী বাবলার। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর জন্য স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম স্বামী বাবলার মরদেহ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে ফোন করেন তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে।
ওসি শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে স্ত্রী জান্নাতুন নাঈমকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী জান্নাতুন নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।