মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন নারীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পূর্ব বিরোধের জেরে আধারার সোলারচর গ্রামে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া গ্রুপের সঙ্গে আধারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহেক মিজি গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আধারা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহেক মিজি বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়ার (সাবেক মেম্বার) নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালায়। তাদের ছোড়া ককটেল ও গুলিতে আমাদের ৬ জন আহত হয়েছে। প্রায় ৭/৮টি ঘর ভাঙচুর করেছে ওরা।
এদিকে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া মেম্বার বলেন, আমার লোকজনের ওপর ওরা হামলা চালায়। আমি এখন গ্রামে বসবাস করি না। আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সুরুজ মিয়া গ্রুপের সঙ্গে আলি হোসেন সরকার গ্রুপের লোকজনও হামলার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। এ সময় ককটেল ও শটগানের গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হন নিপা সরকার (২৫)। তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসাপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ঘটনায় অন্য আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম। বর্তমানে ওই গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, আমাদের টহলরত টিম ওই এলাকায় ডিউটিতে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শুনেছি গতকালকের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।