বাংলাদশ ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বলেছেন, বৈষম্য দূর হলে মানুষ শান্তিতে থাকবে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পরেও মুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। মুসলমানদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের আন্দোলনের কারণে আমরা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র পেয়েছি এবং এই পাকিস্তান সৃষ্টিতে আন্দোলনে একমাত্র মুসলমানরাই রক্ত দিয়েছে। আজকে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জানেই না মুসলমানদের আন্দোলনের অবদানের ইতিহাস। মুসলমানদের দাঁড়ি টুপি থাকার কারণে তারা পুলিশে চাকরি পায় না, সেনাবাহিনীতে চাকরি পায় না। সবখানেই তারা বৈষম্যের শিকার হয়।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলেও গরিব মানুষরা বৈষম্যের শিকার। যাদের টাকা আছে তাদেরকে ব্যাংক লোন দেয়। ৪ লাখ থাকলে তাকে আরও ৪ লাখ দিয়ে ধনি বানানো হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ২০-২৫ জন লোকের হাতে বন্দি। গরিবের লোন মাফ হয় না। কিন্তু বড় লোকের লোন ঠিকই মাফ হয়। দেশের মসনদে খুনি ও লুটেরা থাকলে দেশের জনগণ শান্তি পাবে না। একমাত্র ইসলামী হুকুমত কায়েম হলেই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আসবে। আমরা কি দেখলাম ৫ আগস্ট দেশের বৈষম্য দূর করার জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে খুনি ও লুটেরা সরকারের পতন হলেও এখনো দেশে দখলবাজি ও টেন্ডারবাজি অব্যাহত আছে। আমাদের উচিত এগুলো বাদ দিয়ে বৈষম্য দূর কর।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দীন রোকন ডাকুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম আল আমিন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক, বরিশাল জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম।