সারাদেশ

পটুয়াখালী বিএনপি নেতাদের দেওয়া চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন নুর

পটুয়াখালী বিএনপি নেতাদের দেওয়া চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন নুর


গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে (ডাকসুর সাবেক ভিপি) তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে নুরুল হক নুর কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিলাম, গত দিনগুলোতে আমরা বিএনপিসহ ৪১টি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তবে সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর সে কারণেই বিভিন্ন জেলায় বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি চিঠি দিয়েছে। বিএনপির মত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দলের এ ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’

২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু ও সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। যা রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রকাশ্যে আসে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সংসদীয় এলাকায় (পটুয়াখালী-৩, গলাচিপা-দশমিনা) জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা বা পৌরসভায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।’

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টি কালবেলাকে জানান, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা পেয়েছি এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানানো হয়েছে।’

জানা যায়, পটুয়াখালী-৩ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান আল মামুন। তবে, নুরুল হক নূরের বাড়িও এ আসনে হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে হাসান মামুন ও নূরের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। স্থানীয় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ এড়াতেই কেন্দ্রীয় বিএনপি এ নির্দেশনা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন কালবেলাকে বলেন, ‘সব এলাকায় কেন্দ্র থেকে জোটের নেতাদের সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে। মূলতঃ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে জোটের নেতারা অভিযোগ করেছে তাদের অসহযোগিতা করা হচ্ছে। তাই তাদের সহযোগীতা করার জন্য এ নির্দেশনা।’





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।