জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আমাদের হাতে ছিল না। ছিল না নাগরিকদের কোনো মর্যাদা। চলছিল দাসত্বের জীবন। বর্তমান বাংলাদেশে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই এ দেশকে ইসলামের পথে নিয়ে যেতে শিবিরের নেতাকর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে শিবিরের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে প্রিয় বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এখন দিন এসেছে জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণের। বিজয়ের সম্ভাবনাময় এ দেশে ইসলামের বিজয় পতাকা উড়াতে হবে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কঠিন ও সম্ভাবনার যৌথ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভাবনার এ সুযোগকে কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবে না। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।
আমানতদার নেতৃত্ব ছাড়া জাতির চূড়ান্ত বিজয় সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদী কাফেলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশে সোনার মানুষ তৈরির কাজ করছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণমানুষের নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বের প্রতি দেশের মানুষের নতুন আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ছাত্রজীবনের ন্যায় কর্মজীবনেও নিজেকে ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করতে হবে। আবেগময় সম্মতিতে ভরপুর এ মুহূর্তে ইস্পাত কঠিন শপথ নিতে হবে রবের দিকে ফিরে আসার ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, প্রিয় কাফেলার পথ ধরে সকলকে জান্নাতের মিছিলের যাত্রায় শামিল হতে হবে। শিবির দেশে সর্বক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করছে। যার পদধ্বনি শোনা যায় দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। জাতি প্রত্যাশা নিয়ে বসে আছে সরকার বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব যোগ্য নেতৃত্বের উপর অর্পণ করার জন্য। আল্লাহ এমনিতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেন না। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বিনির্মাণে আত্মত্যাগ করতে হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াত আমীর মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট ছলিম উল্লাহ বাহাদুর, ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াত আমীর ছলিম উল্লাহ জিহাদী, ইসলামপুর চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন, লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার সরওয়ার কামাল। দারসুল কুরআন পেশ করেন জেলা জামায়াত নেতা মুফতি মাওলানা হাবিব উল্লাহ।