সারাদেশ

গাইনি ডাক্তার না হয়েও সিজারিয়ান, প্রসূতির মৃত্যু

গাইনি ডাক্তার না হয়েও সিজারিয়ান, প্রসূতির মৃত্যু


কুমিল্লার চান্দিনায় গাইনি ডাক্তার না হয়েও সিজারিয়ান ডেলিভারি করতে গিয়ে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তদন্ত কমিটি ৩ অক্টোবর থেকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) ওই ঘটনার নিউজটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর রাতেই জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত গাইনি কনসালটেন্ট ডা. উম্মে হাবিবা কে প্রধান করে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. সাজ্জাত হোসেন, সেনিটারি ইন্সপেক্টর নীলনারা ইয়াসমিন ও অফিস সহকারি মামুন আহমেদ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান জানান, দোল্লাই নবাবপুর বাজারের ‘টাওয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। এছাড়া গাইনি ডাক্তার না হয়েও সিজারিয়ান ডেলিভারি করা অত্যান্ত দুঃখজনক। আমাদের তদন্ত টিম যথারীতি কাজও করে দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই বন্ধ করা হবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের পাঁচধারা গ্রামের আশিকুর রহমান আশুর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রাবেয়া আক্তার তৃতীয় সন্তান প্রসবের ব্যথা অনুভব হয়। পরিবারের লোকজন তাকে দোল্লাই নবাবপুর বাজারের ‘টাওয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এ নিয়ে আসে।

এসময় ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সারোয়ার জাহান নিজেই রোগীর অ্যানেস্থেশিয়া করাসহ সিজারিয়ান ডেলিভারি করান। সিজার করানোর পরপরই অপারেশন টেবিলে মৃত্যু ঘটে রাবেয়া আক্তারের।

নিহত রোগীকে ওটি টেবিলে ফেলে পালিয়ে যায় কর্তরত চিকিৎসক সারোয়ার জাহান। এসময় ঘটনার পর নিহতের পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে স্থানীয় লোকজনের প্রভাব খাটিয়ে নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।