খাগড়াছড়ির সাবেক এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগের পাহাড়ি-বাঙালি নেতারা ইন্ধন ও উস্কানি দিয়ে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর সন্ধ্যায় তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ অভিযোগ করেন।
ওয়াদুদ ভূইয়া ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘পাহাড়ে সাম্প্রতিক যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে এবং সেসব মূল ঘটনার পরবর্তী ঘটনায় হামলা ও ভাঙচুর প্রত্যক্ষভাবে চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের তৃতীয়-চতুর্থ সারির নেতাকর্মীরাই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদের সঙ্গে কিছু হুজুগে পাবলিক জড়িয়ে যাচ্ছে, যাদেরকে ফিফথ কলামিস্টও বলা যায়।’
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করে আওয়ামী লীগের পাহাড়ি নেতারা পাহাড়িদের ইন্ধন দিচ্ছে এবং বাঙালি আওয়ামী নেতারা বাঙালিদের নেতৃত্ব, ইন্ধন ও উস্কানি দিয়ে পাহাড়ে দীর্ঘমেয়াদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে। এসবের সঙ্গে প্রতিবেশী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে।’
উল্লেখিত পক্ষগুলো পাহাড়কে অশান্ত করে দীর্ঘমেয়াদি দাঙ্গা লাগিয়ে বর্তমান সরকারকে আনস্টেবল করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, ‘যেন তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) দেশে-বিদেশে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। তারা পাহাড়কে ইস্যু করে ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করে পূর্বের হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে পাহাড়ে আমরা পাহাড়ি-বাঙালি কেউই স্ব-স্ব অবস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবো না। দিন শেষে আমরা নিরীহ জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আ.লীগ ও বিদেশিদের এসব পাতানো ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য পাহাড়বাসীকে অনুরোধ।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে অনুরোধ করবো উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা যে সম্প্রদায়েরই হোক, তাদের কঠোর হস্তে মোকাবিলা ও গ্রেফতার করা হোক। এ বিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা জনগণ কোনোক্রমেই ভালোভাবে নেবেনা। অতিসত্বর পাহাড়ের ভেতরে এবং বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রামে অবস্থান করে এসব ঘটনার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী নেতাদের গ্রেফতার করতে পারলে পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আমি মনে করি।’