বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে বৈষম্যের চূড়ান্ত রূপ দেখেছে দেশবাসী। এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে তারা দুর্নীতি-বৈষম্য করেনি। দল বিবেচনায় মেধাবীরা তাদের কাছে মূল্য পায়নি। দেশের উন্নয়নের চেয়ে পকেটের উন্নয়ন বেশি করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কক্সবাজার শহর জামায়াত আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে মহানবী (সা.) ইসলামের শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ফ্যাসিবাদী আ.লীগ। আমরা প্রয়োজনে আবার জীবন দেব। তবু বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদের হাতে যেতে দিব না। বৈষম্যমুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শই একমাত্র পথ।
দেশের প্রত্যেকটি স্তরে নৈতিক মানুষ তৈরির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের রাষ্ট্রপতি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার উপযুক্ত ব্যক্তি নন। প্রশাসনের প্রত্যেকটা স্তরে নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসমত আলী।
প্যানেল আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন কাদেরী, ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ হামিদুর রহমান।
শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জাহেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, কর্ম পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, শহর জামাতের নায়েবে আমির কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর, সাংগঠনিক সেক্রেটারি দরবেশ আলী মো. আরমান, সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, ছাত্র নেতা আলী হুসাইন, মুসা ইবনে হুসাইন বিপ্লব প্রমুখ।