বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ আলমগীর বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল এই সরকার। এ সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা- গ্রহণযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার তুলে দেবে। আমরা চাই না, একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘ হোক। কারণ, তাতে যে সংকট তৈরি হবে, সেটা তারা মোকাবিলা করতে পারবে না। পাশাপাশি গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ‘পরিবারের আড্ডা এবং জনতার কন্ঠ’ আয়োজিত মোহাম্মদ উল্লা মামুন এবং রিজভী আহম্মেদ সিজারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানসহ এই দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে আওয়ামী লীগ সরকার। সম্প্রতি তারা দেশে এসে কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন দেন।
সৈয়দ আলমগীর বলেন, বিএনপির আন্দোলন ছিল মানুষের কথা বলা, বাক-স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, যার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে তারা নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের দায়ভার শেখ হাসিনাকেই বহন করতে হবে। ছাত্র এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে দুর্বৃত্তদের মুখোমুখি করে হাজারো মায়ের বুক খালি করেছেন। আমাদের ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসররা বিদায় হয়নি। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল আওয়ামী স্বৈরাচার। শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন- সুষ্ঠু ভোট দিলে বিএনপি চলে আসবে, তারেক রহমান চলে আসবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারকে আমরা এনেছি। আমরা চাই, এই সরকার সফল হোক। এই সরকার সফল না হলে আবারও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবে। অনতিবিলম্বে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ভোট পেছালে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে অনেকে অনেক কিছু করার চেষ্টা করবে।
বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের সঞ্চালনায় এতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, মোহাম্মদ উল্লা মামুন, রিজভী আহম্মেদ সিজার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।