জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত, জাগপাসহ যুগপৎ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা যারা ছিলাম, আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে গণতন্ত্র হত্যাকারীরা উল্লাস করবে। আমাদের ঐক্য ভঙ্গ হলে সুযোগ পাবে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলায় বিজয় চত্বরে জাগপা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সজাগ থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় রাখতে হবে। আমাদের বিভেদ যেন আওয়ামী লীগের জন্য আশীর্বাদ না হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং নৌকা প্রতীক চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে ছাত্র-জনতাকে গণহত্যার রক্ত। আওয়ামী লীগের বিগত সতের বছরের শাসনামলে গুম-খুনের কথা আমরা ভুলিনি। আমরা পিলখানা ট্র্যাজেডি ও শাপলা চত্বরের গণহত্যা ভুলতে পারি না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস গুম-খুন, চুরি-ডাকাত এবং হত্যার ইতিহাস। সুতরাং আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করতে হবে।
জাগপার এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী। আওয়ামী লীগের হাতে জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪-১৮ এবং ২০২৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভোটাধিকার চাইতে গিয়ে দেশের অসংখ্য তরুণ-যুবক লাশ হয়েছে। তাই এখন দেশবাসীর গণদাবি আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাগপা নেতা হেমায়েত ইসলাম তপুর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন- মনোয়ার হোসেন, আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর শ্রমিক জাগপা, আরিফ বিল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, দেবীগঞ্জ উপজেলা, মোবাশ্বের রাশেদীন, সাধারণ সম্পাদক, দেবীগঞ্জ উপজেলা, সুমন ইসলাম, সোনাহার ইউনিয়ন জাগপা, হারুন, সভাপতি, দেবীদুবা ইউনিয়ন জাগপা, আসাদুর, সভাপতি, পৌর জাগপা, দেবীগঞ্জ উপজেলা, শামীম ফেরদৌস, সভাপতি, টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন জাগপা, বেলাল, সহসভাপতি, বোদা উপজেলা জাগপা, আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা জাগপা, শামসুজ্জামান নয়ন, সহসভাপতি, জেলা জাগপা, মো. কামাল হোসেন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা জাগপা, জেলা যুব জাগপা নেতা খোকন, আনোয়ার, আছমত, জাগপা ছাত্রলীগের আরিফ হোসেন প্রমুখ।