নব্বই দশকের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী মনি কিশোর চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার পর রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গীতিকার মিল্টন খন্দকার বলেন, ‘শিল্পীর মেয়ে নিন্তী চৌধুরী সরকারিভাবে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। সেই কাগজটি প্রশাসন হাতে পেয়ে দাফনের অনুমতি দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মসজিদটির পাশেই সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।’
গত ১৯ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছিল, মরদেহ উদ্ধারের চার পাঁচ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছিল।
ক্যারিয়ারের শুরুতে শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে বিয়ে করেন মনি কিশোর। তবে দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। এদিকে শিল্পী ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমাণাদি না পাওয়ায় ও মেয়ে নিন্তি চৌধুরীও দেশে না থাকায় সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ কর্মকর্তারাও মরদেহ দাফনের কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিল্পীর মেয়ের পাঠানো একটি ইমেইল পেয়ে দাফনের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মনি কিশোর। রেডিও-টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন এই শিল্পী। মনি কিশোরের জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ প্রভৃতি।