পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে গরমিল বক্তব্য দেওয়ায় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে শপথ লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে তিনি তা এড়াতে পারেন না। তাই শপথ লঙ্ঘনের দায়ে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেছে খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর ২০২৪) খেলাফত মজলিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় খেলাফত মজলিস নেতারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তি বঙ্গভবনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন শেখ হাসিনা তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অথচ সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোন দালিলিক প্রমাণ খুঁজে পাননি বলে জানান। রাষ্ট্রপতি পরষ্পর সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়ে শপথ লঙ্ঘন করেছেন এবং বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন।
খেলাফত মজলিস নেতারা আরও বলেন, এর পূর্বে ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অবৈধ সংসদকে অনুমোদন দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে সহযোগিতা করেছিলেন। এই রকম একজন বিতর্কিত ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি পদে থাকা ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নাই। জনগণ এই রাষ্ট্রপতিকে আর চায় না। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগই উত্তম বিকল্প। একইসাথে রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জহিরুল ইসলাম, মো: জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, হাজি নূর হোসেন, আবু আদিবা, হাফেজ নুরুল হক, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ।