রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’ অবলম্বনে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’। মির্জা সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত ছবিটি মুক্তির পরই পড়েছে সমালোচনার মুখে।
রবীন্দ্রনাথের লেখা হৈমন্তী গল্পটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯১৪ সালে। গল্পের হৈমন্তী চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন নির্মাতা সাখাওয়াত। তবে রূপায়ণ করতে গিয়ে হৈমন্তীকে হাইহিল পরিয়েছেন পরিচালক। তা নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
প্রখ্যাত নির্মাতাদের একজন সিনেমাটি দেখেছেন এবং হৈমন্তীর পায়ে হাইহিল দেখে আক্ষেপ করেছেন।
হাইহিল পরানোর কারণ জানতে ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’র নির্মাতা সাখাওয়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করে কালবেলা। তিনি বলেন, হিল কিন্তু সে যুগে ছিল। আপনি নারগিস আক্তারের ‘অবুঝ বউ’ সিনেমাটি দেখুন। সেখানেও নায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে নায়িকা হাইহিল পরে ঘুরতে যায়।
নির্মাতা আরও বলেন, কাজী হায়াতের ‘কাবুলিওয়ালা’ দেখুন। সেখানে হোটেলে প্লাস্টিকের বয়ামের ব্যবহার আছে। এ ছাড়াও তিনি দাবি করেন, ১৮ শতকে হাইহিল ছিল, সাধারণ নারীরা ফ্যাশন হিসেবে তা পরত।
‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ সিনেমার গল্পের পরতে-পরতে রয়েছে প্রাণবন্ত এক জুটির রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার স্পর্শ। পরিচালক সেটিই চিত্রিত করেছেন সেলুলয়েডে।
শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এ গল্পে আরও উঠে এসেছে যৌতুক প্রথার ভয়াবহ রূপ এবং একজন নবীন গৃহবধূর নিষ্ঠুর নির্মম মানসিক যন্ত্রণার উপাখ্যান। আরও দেখা যাবে একটি পরিণত বয়সের স্বামী-স্ত্রী যুগলের যাপিত জীবনের কামনা-বাসনা, প্রেম ও রোমাঞ্চের অনবদ্য মুহূর্ত।
এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশিকা ঐশি, সাইফ খান, ঝুনা চৌধুরী, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, মির্জা সাখাওয়াত হোসেন, মুনা আক্তার, অরূপ কুণ্ডু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, আনিছুর রহমান ও শিশুশিল্পী সিমন্তিনী চৌধুরী প্রমুখ।
সিনেমাটি কেমন চলতে তা জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, এখনো ছবিটি হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়নি।