আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নির্যাতনে বিচারকরাও দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি থেকে শুরু করে এমন কোনো পেশার লোক নেই যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ধবংস করে দিয়েছিল তারা। গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না।
রোববার (২০ অক্টোবর) নীলফামারীতে দিকনির্দেশনামূলক যৌথ কর্মিসভায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। ‘আমরাই গড়ব আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ’-স্লোগান সামনে রেখে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিকনির্দেশনামূলক এই যৌথ কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর এমন কোনো অত্যাচার নেই যে আওয়ামী লীগ করেনি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই অত্যাচারীরা নিজেরাই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। এটা থেকেই বোঝা যায়, তারা কী পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন মানুষের ওপর।
তিনি বলেন, দল ভারি করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ কোনো অবস্থাতেই মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা করবেন না। কোনো প্রকার লুটপাট, চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়া যাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাব এখানে।
গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন যুবদল সাধারণ সম্পাদক। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নয়ন বলেন, সব রাজনৈতিক, মিথ্যা ও সাজানো মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন আলী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ নীলফামারী জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।