স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাহানারা বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবি পার্টির নেতাকর্মীরা। সাক্ষাৎকালে তারা ১৩ দফা সুপারিশসহ স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবি পার্টি উত্থাপিত সুপারিশগুলো গ্রহণ করেন এবং স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে নেতাদের মতামত জানতে চান। নেতারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপ জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগকে আরও সক্রিয় করার অনুরোধ জানান।
দলটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিকট উত্থাপিত সুপারিশগুলো হলো :
১ ) জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিস কমিশনের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করে এবং অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করা।
২) ‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা।
৩) জনস্বাস্থ্য ও প্রাইমারি হেল্থ কেয়ারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া।
৪) স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা।
৫) বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের ও ইন্টার্নদের মানসম্মত ভাতা বৃদ্ধি করা।
৬) রেফারেল সিস্টেম চালু করা।
৭) মানহীন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করে দেওয়া।
৮) বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি করা।
৯) ওষুধের দাম কমানো ও জাতীয় ওষুধ নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা।
১০) অতীতের দুর্নীতি ও সব ধরনের অনিয়মের পুনরুত্থান রোধ করা।
১১) বিদ্যমান পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সগুলোর সময় কমিয়ে এনে ট্রেইনিদের মধ্যে বিদ্যমান হতাশা দূর করে কোর্সগুলোকে গতিশীল করা, পাসের হার বাড়ানো।
১২) ৪২তম বিসিএসসহ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সব আবেদনকারীকে পদায়নের সুপারিশ করা।
১৩) প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা ও পোশাক শ্রমিকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, দলের স্বাস্থ্যসেবা নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য ডা. সোনিয়া জেমিন প্রীতি প্রমুখ।