সারাদেশ

অন্তবর্তী সরকারকে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

অন্তবর্তী সরকারকে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ


রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি সংগঠনটির। মাগুরায় (১৬ অক্টোবর) বিকেলে গণসমাবেশ থেকে প্রধান অতিথির ভাষণে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন।

বিকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগঠনটির হাজারো নেতাকর্মী শহরের নোমানী ময়দানে মিছিল সহকারে উপস্থিত হয়।এ সময়ে তারা ‘যোগ্য নেতা পাইছি ভাই পীর সাহেব চরমোনাই’, ‘সারাবাংলায় শুনতে পায় পীর সাহেব চরমোনাই’, ‘সব মার্কা দেখা শেষ হাত পাখার বাংলাদেশ’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে মাগুরা শহর।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মাগুরা জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুফতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা মশিউর রহমান। এতে মাওলানা নাজিরুল ইসলাম, হাফেজ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঘোষণা দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কোনো ভোট বিফলে যায় না।

তিনি বলেন, গত ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরও উৎসাহিত হবে।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয়নি। ১৯৭১ সালে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।

মুফতি ফয়জুল করিম আরও বলেন, গত শেখ হাসিনা সরকার দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু কোনো দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে। যানজট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পতিত সরকারের প্রেতাত্মা এখনও বিভিন্ন প্রশাসনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কঠোরভাবে বয়কট করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল। বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি মাওলানা মশিউর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মাওলানা নাজিরুল ইসলাম, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, মুফতি হাবিবুল্লাহ, আলহাজ নাজমুল হাসান ওয়াদুদ, মাওলানা হাসিবুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা ওসমান গণী সাইফী, চেয়ারম্যান মুফতি ওসমান গণী মুছাপুরী, মাওলানা কাজী ইকরামুল হক, মাওলানা আসাদুজ্জামান, আলহাজ আমান উল্লাহ, মালানা কুতুবউদ্দিন, মাওলানা আলী আহমদ, আবদুস সালাম জারেফ, মুহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম। সমাবেশে জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।