বিশ্ব

সীমান্ত বাড়িয়ে সৌদি আরবে ঢুকতে চায় ইসরায়েল?

সীমান্ত বাড়িয়ে সৌদি আরবে ঢুকতে চায় ইসরায়েল?


ফিলিস্তিনিদের হটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে জুড়ে বসে ইহুদিরা। পরে সেখানে তারা গঠন করে ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র। এরপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাসহ বিভিন্ন যুদ্ধ আর দখলবাজির মাধ্যমে তারা প্রতিবারই বাড়িয়ে নিয়েছে নিজেদের পরিধি। সেখানে তারা গড়ে তুলেছে ইহুদি বসতি। কিন্তু তাতেও ক্ষুধা মেটেনি তাদের। প্রতিবারই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েল বাড়িয়েছে নিজেদের স্বার্থ আর সামাজ্য।

পশ্চিমা সমর্থিত ইসরায়েলের লোভাতুর দৃষ্টি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে সে ব্যাপারে পরিষ্কার একটি ধারণা দিয়েছেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। এক প্রামাণ্যচিত্রে তিনি তুলে ধরেছেন ইসরায়েলের সীমানাবৃদ্ধির পরিকল্পনার রূপরেখা। এতে ওই মন্ত্রী বলেন, নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য জর্ডান নদীর পূর্বে থাকা অঞ্চলগুলিও তাদের দরকার। পূর্ব থেকে আসা যে কোনো আক্রমণ যেন প্রতিহত করা যায়।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের এমন বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, ফ্রান্স-জার্মানভিত্তিক নিউজ ম্যাগাজিন আর্টে রিপোর্টেজ থেকে নির্মিত ‘ইন ইসরায়েল : মিনিস্টারস অব কেয়াস’ নামের প্রমাণ্যচিত্রটি মুক্তি পেয়েছে চলতি মাসে। সেখানেই ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ইহুদি রাষ্ট্রের বিস্তৃতি নিয়ে কথা বলেন।

ডকুমেন্টারিতে স্মোট্রিচ আরও জানান, এটি লিখিত আছে, জেরুজালেমের ভবিষ্যত প্রসারিত হবে দামেস্কে। যাকে বলা হচ্ছে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’। এর পক্ষে ধর্মীয় ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন চরম ডানপন্থি এই মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, কেবল জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, মিশরই নয়, বরং সৌদি আরবের অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত হবে বৃহত্তর ইসরায়েলে। ইসরায়েলি জনগণের মাঝে যা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনাকে আগ্রাসী এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করছে আরব রাষ্ট্রগুলো। অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই তার সীমান্তকে সম্প্রসারণ করে, তাহলে ফিলিস্তিনীদের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হবে আরও অসংখ্য জাতিগোষ্ঠীকে। শুরু হতে পারে সংঘাতের নতুন অধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এই পরিকল্পনা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।





Source link

Shares:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।