লেবাননের বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইসরায়েলি হামলা থেকে নিরাপদ রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিমানবন্দর এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব চালানোর পর এমন আহ্বান এলো। এ ছাড়া রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহরগুলোয় ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি হামলা আরও ভয়ংকর হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ইসরায়েলকে বৈরুত বিমানবন্দর বা এর দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হামলা চালায়। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বসহকারে দেখছে জানিয়ে মিলার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করি এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দরটি যেন চালু থাকে সে ব্যাপারে ইসরায়েলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরে যাতায়াতের রাস্তাগুলো সচল রাখতে হবে। যাতে আমেরিকান নাগরিক যারা চলে যেতে চান তারা বাইরে (লেবানন ছেড়ে) যেতে পারেন। তেমনি অন্য দেশের নাগরিকরাও যাতে সুযোগটি পান। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিমানবন্দর ও আশপাশের রাস্তায় হামলা চায় না।
গত এক সপ্তাহ ধরে, ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এর নাগরিক এবং তাদের পরিবারকে দেশ থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য প্রায় প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ জনকে বিমানে করে পরিবহন করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান।
এদিকে বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি এলাকায় চৌইফাত অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ এলাকাটি বিমানবন্দরের ঠিক পূর্বে অবস্থিত। ফলে বর্তমানে আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে বিমান ওঠানামা করছে।
কেবল বিমানবন্দর নয়, লেবাননের উত্তরাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত আল বেদ্দায়ী ক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়েছে।