চিত্রনায়িকা অধরা খান। বড় পর্দায় প্রতি বছরই থাকে তার নতুন সিনেমা। তার অভিনীত ‘মাতাল’, ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ ও ‘সুলতানপুর’ সিনেমা এরই মধ্যে দর্শকপ্রিয় হয়েছে।
এরই মধ্যে অধরা খান আরও দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। ছবি দুটি হচ্ছে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিন দুয়ার’, জাহিদ হোসেনের ‘ঋতুকামিনী’। অনেকেই মনে করেন অধরা খান দেশের বাইরেই বেশিরভাগ সময় ঘুরে বেড়ান। দেশে তাকে খুব কমই পাওয়া যায়। অথচ দেশে থেকে তিনি এরই মধ্যে ‘দখিন দুয়ার’ ও ‘ঋতুকামিনী’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। দুটি সিনেমার ডাবিংও শেষ করেছেন এই নায়িকা।
সিনেমা দুটিতে অভিনয়ের বিষয়ে অধরা খান বলেন, ‘দখিন দুয়ারে খেয়া চরিত্রে এবং ঋতুকামিনীতে আমি কুমকুম চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে দুজন সিনেমা দুটি নির্মাণ করেছেন তারা দুজনই ভীষণ মেধাবী পরিচালক। তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর প্রতি দর্শকের ভালোলাগা ছিল, ভালোবাসা ছিল, যে কারণে বলা যায় বেশ আগ্রহ নিয়েই তাদের সিনেমায় অভিনয় করেছি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছি এই দুটি কাজে। আমি ভীষণ আশাবাদী সিনেমা দুটি নিয়ে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই দুই গুণী পরিচালককে।’
এর আগে জাহিদ হোসেনের ‘ঋতুকামিনী’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কালবেলাকে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সিনেমার টানা ২০ দিনের শুটিং একবারে করি। আমার বিপরীতে সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। এ ছাড়াও আছেন ফজলুর রহমান বাবু ভাই, দীপা খন্দকার ও রুনা খান। দর্শক আমাকে নতুন একটি চরিত্রে দেখবেন। গল্পটি অসম্ভব সুন্দর। আশা করছি, সবার কাছ থেকে কাজটির মাধ্যমে ভালো সাড়া পাব। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আমাকে সিনেমাটির জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কারণ পরিচালক চাইছিলেন আমাকে কম গ্ল্যামারাস লাগুক। চরিত্রটি ঠিক তেমনই। আমার আগের সিনেমাগুলোর চেয়ে এটি ভিন্ন। এমন চরিত্রে আসলে আমাকে দর্শক আগে কখনো দেখেননি। শুটিং শুরুর অনেক আগে থেকেই আমাকে মানসিকভাবে চরিত্রটি নিয়ে ভাবতে হয়েছে। এ সিনেমায় একজন অভিনেত্রী হিসেবে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’
অধরা আরও জানান, ‘ঋতুকামিনী’ সিনেমাটি আগামী বছর মুক্তি পাবে। এ ছাড়া এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শন করা হবে। তবে ‘দখিন দুয়ার’ মুক্তির বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না এই অভিনেত্রী।