‘আমরা ভালো দলকে হারানোর দারুণ সুযোগ হারালাম’— নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এমনটাই বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
টাইগ্রেস অধিনায়কের কথাই সত্যি। ইংল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষকে ১২০ রানের আগে আটকে দেওয়া; এরপর জিততে না পারাটা আক্ষেপই থেকে যাওয়ার কথা। ২১ রানের হার সেমির দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১১৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে ৯৭ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন সোবহানা মোস্তারি।
বাকিদের মধ্যে কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। উল্টো ব্যর্থতার মিছিলেই মিশে গেছেন সবাই। অবশ্য বোলিংয়ে দারুণ করেছেন নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুনরা। তবে ব্যাটাররা সেটার সুন্দর সমাপ্তি টানতে পারেননি। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
অন্যদিকে টাইগ্রেসদের বিপক্ষে নিজেদের শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখছে ইংলিশ নারী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চার দেখায় প্রতিটিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
গ্রুপ-বিতে বাংলাদেশের পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আগামী ১০ অক্টোবর ক্যারিবীয় নারীদের মুখোমুখি হবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার।
ইংল্যান্ডের কাছে হারার আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
এর আগে দিনের আরেক ম্যাচে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একই মাঠে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ৯৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন অজি বোলার মেগান স্কট।
অধিনায়ক ও দলের সেরা ব্যাটার চামারি আতাপাত্তু ব্যর্থ হলে দলের রানও একশ ছুঁতে পারেনি লঙ্কানরা। ছোট্ট লক্ষ্য পেয়ে ৩৪ বল বাকি রেখেই জয় নিশ্চিত করে বর্তমান শিরোপাধারীরা। ৩৮ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বেথ মুনি।