বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও তার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলারা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছে। প্রশাসনে তাদের রেখে কোনোভাবেই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। অবিলম্বে এই বিতর্কিত আমলাদের অপসারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনপ্রশাসনে শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলাদের অপসারণের দাবিতে ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা ফারুক বলেন, আমরা এখনো দেখতে পাই- বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের মূল এজেন্ডা বাংলাদেশ থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ চিরতরে মুছে ফেলা, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনীতিকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়া; তারেক রহমান যেন আর কোনোদিন বাংলাদেশে না আসতে পারে। তাই এই বিতর্কিত দালাল, আমলাদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই, যাদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দেওয়া হয়নি। এর মধ্য দিয়ে তারা আমাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- আজ হাসিনা নেই, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশেই রয়েছি। দেশের কথা, জনগণের কথা বলছি।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তাদের বিতর্কিত জজদের দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সরকার ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সরকার। ফলে এই বিতর্কিত জজরা এখনো কীভাবে বহাল তবিয়তে চাকরিতে বহাল রয়েছেন, তা দেশবাসী জানতে চায়।
তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকার রাজনীতি থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার জনগণ তা হতে দেয়নি। দেশের জনগণ চায়, আগামীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই এই দেশ পরিচালিত হবে।
‘জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীনের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ভূইয়া সবুজ, প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি এবং লেখক ও গবেষক কালাম ফয়েজী, জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ উদ্দিন রুমী, প্রতিবাদ’র সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন, মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আবু হায়দার মো. সিদ্দিকুর রহমান, রাজু আহমেদ শাহ, প্রতিবাদ’র সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন, এস এম কমর উদ্দিন, মো. কবির হোসেন প্রমুখ।