বিএনপি বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার, শুকনো খাবার সরবরাহ এবং বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ হোসেন বলেন, গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধায় বন্যা হয়েছে। বগুড়া ও সিরাজগঞ্জকেও প্লাবিত করছে।
এ অবস্থায় বন্যার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সবাই জরুরিভাবে মিলিত হই। কারণ, এই উত্তরাঞ্চলে ৫টি জেলায় বন্যা হয়েছে, আর বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মানুষগুলোকে জরুরিভাবে কীভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া যায়, এজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে- কেন্দ্রীয়ভাবে বন্যা চলাকালে উদ্ধার, শুকনো খাবার সরবরাহ এবং বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলা বিএনপি’র অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও ত্রাণ পুনর্বাসন কমিটির নেতৃত্বে ত্রাণসামগ্রী বন্যার্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রত্যেক জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে ত্রাণ পুনর্বাসন কমিটি করা হয়েছে। আর বন্যার্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম দক্ষিণাঞ্চলে চলছে।
ডা. জাহিদ বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রত্যেক কমিটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, যাতে সকালেই বন্যার্ত মানুষদের পাশে তারা দাঁড়াতে পারে এবং শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।